প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকের বাণী

প্রতিটি শিশু পৃথিবীতে আগমনের পর প্রথম যিনি শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি হলেন মা, এরপর তাদের নিয়মতান্ত্রিক জ্ঞান বিতরণের দায়িত্ব পালন করেন সম্মানিত শিক্ষকগণ। সর্বকালের সর্বজন স্বীকৃত সত্য কথা হলো মানুষকে প্রকৃত মানুষরূপে রূপান্তরিত করে দ্বীনি শিক্ষা। যুগেযুগে এই দ্বীনি শিক্ষার শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন মহান আল্লাহর প্রেরিত নবি রাসুলগণ এই সকল শিক্ষকের শিরোমনি ছিলেন আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদূর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এইজন্যই তিনি গর্বের সাথে বলেছেন আমি শিক্ষক রূপে প্রেরিত হয়েছি।

কালের পরিক্রমায় স্রষ্টার নিয়মানুবর্তিতায় আম্বিয়ায়ে কেরামের উত্তরাধিকারী হিসেবে অর্পিত হয়েছে আমাদের উপর এই দায়িত্ব যথাযথ পালনের বিষয়ে সর্বোচ্চ প্রয়াসের অঙ্গীকার করছি। প্রতিটি ছাত্র আমাদের কাছে পবিত্র আমানত, আমানত রক্ষা করাও ঈমানের দাবী, এই দাবি আদায়ে আমরা আন্তরিকভাবে সচেষ্ট। শুধু পাঠ্য সুচির নির্ধারিত আঙ্গিনায় আমরা শিক্ষার্থীদের বন্দি করে রাখতে চাই না, আপনার সন্তান দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি জাগতিক শিক্ষা ও অর্জন করুক সমাজে নিজের অবস্থানকে মজবুত করতে দিকভ্রান্ত সমাজের নেতৃত্ব দিতে আপনার সন্তান বক্তৃতা বিতর্কের ময়দানেও বিচরণ করুক সফলতার সাথে সংগীত কবিতার মাধ্যমে সুরেসুরে ছড়িয়ে দিক কোরআনের আহ্বান।
বিশ্বব্যাপী দাওয়াতের কাজ পরিচালনার জন্য কুরআনের ভাষা এবং মাতৃভাষার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক একাধিক ভাষায় অর্জন করুক পাণ্ডিত্য সাহিত্যচর্চা সহ নানাবিধ সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাক সুষ্ঠ চর্চার মাধ্যমে। সর্বপরী মানসম্মত শিক্ষা, আমলী মানসিকতা, নৈতিক চরিত্র, বিনয়ী চালচলন ও কোরআনের আদর্শে জীবন গড়তে অভ্যস্ত হোক মারওয়াহ র প্রতিটি ছাত্র আমার, আপনার, সবার চক্ষু শীতলকারী হোক প্রতিটি সন্তান

মাঈনুদ্দীন ওয়াদুদ